বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন
বরিশাল রিপোর্ট ডেস্কঃ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সর্মথক ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংর্ঘষ হয়েছে উজিরপুর উপজেলার সাতলা । এতে কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছে।
এ সময় সরকার দলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা ইউনিয়ন পরিষদের আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
আজ ৩১শে মার্চ বুধবার দুপুরে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী খায়রুল বাসার লিটন(আনারস) প্রতীকের সমর্থক স্থানীয় মটোরসাইকেল চালক সুমনের সাথে নৌকার প্রার্থী শাহিন হাওলাদারের সর্মথক ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আসাদ ও জেলা ছাত্রলীগ নেতা কলিমুল্লাহ’র কথাকাটাকাটি হয়।
একপর্যায় উভয় ভিতর সংর্ঘষ শুরু হয়।
সংর্ঘষের ঘটনা শুনে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদ আল হাসান। আহত সুমনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই ইউনিয়নে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) জিয়াউল আহসান। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী খায়রুল বাসার লিটন জানান, নৌকার সর্মথন না করায় আমার সমর্থকদের উপর প্রতিনিয়ত স্থানীয় সন্ত্রাসী আসাদের নেতৃত্বে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে।
গতকাল সুমনকে ধাওয়া করলে সে জীবন বাঁচাতে ইউনিয়ন পরিষদে আশ্রয় নেয়। সেখানেও সরকার দলীয় চেয়ারমন্যা প্রার্থীর ভাই আসাদ হাওলাদারসহ ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে এবং ইউনিয়ন পরিষদের আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে।
এ ব্যাপারে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিন জানান, লিটন নিশ্চিত পরাজয় যেনে বিএনপির সন্ত্রাসীদের নিয়ে নৌকার সর্মথকদের হুমকি দিয়ে আসছিল এবং বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ নিয়ে নানা প্রপাগন্ডা ছড়িয়ে নির্বাচনকে বির্তক করার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনসহ থানায় অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না।
এ ব্যাপারে উপজেলা রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলিমুদ্দিন জানান, নির্বাচেনর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধ পরিকর। যে সকল দুস্কৃতি কারীরা নির্বাচনকে ভানচাল করতে চায় তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তদন্ত স্বাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।