বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্সঃ বরিশালে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গতো দুইদিন কোতোয়ালী মডেল থানায় মোট ২৪টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পরে । গত রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- ‘২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তাদের আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে’।
এই ঘোষণার পর থেকেই বরিশালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় লাইসেন্স পাওয়া অস্ত্র থানায় জমা দেওয়া শুরু হয়েছে। গত দুদিনে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় ২৪টি অস্ত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, অস্ত্র প্রদর্শন ও গুলি করে ভয় দেখানো হলে থানা পুলিশ অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করার জন্য জেলা প্রশাসনে প্রতিবেদন দেবে। জেলা প্রশাসন লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা নেবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিতের এমন সিদ্ধান্ত এলো।
জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে এ বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তি পর্যায়ে বরিশাল জেলা ও মহানগর এলাকায় ১৯৬টি অস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান করা হয়। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে পিস্তল, রিভলভার, শর্টগান, এক-নলা ও দোনলা রাইফেল।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের থানায় এরই মধ্যে ২৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি জমা দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউ অস্ত্র জমা না দিলে তাকে আইনি জটিলতায় পড়তে হবে। যারা অস্ত্র জমা দিচ্ছেন তাদের একটি প্রাপ্তি স্বীকারপত্র দেওয়া হচ্ছে। এ পত্র সংরক্ষণ করার জন্যও বলা হচ্ছে।
এদিকে, অস্ত্র জমা দিয়ে আবার তা ফিরে পাওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন লাইসেন্সধারীরা। তারা বলছেন, অনেকে শখ করে আবার কেউ ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য এসব অস্ত্র কিনেছিলেন।
মো. মাসুম নামের একজন বলেন, ২০১৮ সালে অস্ত্রটি কিনেছিলাম আমার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য। আয়করের ওপর নির্ভর করে আমাকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। ৫ লাখ টাকা দিয়ে কেনা অস্ত্র আর ফেরত পাব কিনা জানি না। সম্পূর্ণটাই মনে হচ্ছে গচ্চা গেল।
উল্লেখ্য, বরিশালে মোট অস্ত্রের লাইসেন্সধারীর সংখ্যা ৬৬৯ জন।