বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আমতলী থানাধীন লোছা গ্রামে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্ব শত্রুদের জেরে একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এত আহতরা হলেন লোছা গ্রামের সুলতান মাতুব্বরের ছেলে জুয়েল মাতুব্বর (৩৭) তার মা কুলসুম বেগম (৫০) স্ত্রী সাবিনা (৩২) ও বোন রুমি বেগম (৩৫)।
পরে স্থানীয়রা আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে আমতলী থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে। সেখানে গুরুত্বর আহত জুয়েল মাতব্বরের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসাকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
আহত সূত্রে জানা গেছে, জুয়েল মাতব্বরের চাচা জাকির মাতুব্বারের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি জমা নিয়ে বিরত চলে আসছে। জুয়েল মাতব্বরের পৈতিক সম্পত্তি জোরপূর্বক তার চাচা জাকির মাতব্বর জবর দখল করে রাখছে। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে বিভিন্ন সময় মারধর সহ প্রান নাসের হুমকি দিয়ে আসছে চাচা জাকির মাতব্বর ও তার পরিবারের লোকজন।
এ নিয়ে গত মঙ্গলবার দিন দুপুর তিনটা জাকির মাতব্বরের সাথে জুয়েলের তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জাকির মাতব্বর, জুয়েল মাতুব্বর কে মারধর করে। এতেই ক্ষান্ত হয়নি জাকির মাতুব্বর।
পূর্ব শত্রুতার জেরে জুয়েল মাতুব্বর কে হত্যার পরিকল্পনায় মঙ্গলবার দিন সন্ধ্যার দিকে দ্বিতীয় দফায় জুয়েল মাতুব্বর কোলা থেকে ট্রাকটার নিয়ে বাড়ি ঢোকার সময় প্রতিপক্ষ জাকির মাতুব্বর তার ছেলে মোকছেদুল, স্ত্রী শিউলি, সমন্ধী খলিল সহ ভাড়াটে অজ্ঞাত ৮-১০ জন ধারালো দা দিয়ে জুয়েল মাতুব্বর কে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে।
এ সময় আহতর ডাক চিৎকারের মা কুলসুম বেগম, বোন রুমি বেগম ও স্ত্রী সাবিনা তাকে বাঁচাতে গেলে প্রতিপক্ষরা তাদেরও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
পরে আহতদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় ছুটে আসলে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত জুয়ের মাতুব্বর শেবাচিমের সার্জারি ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।