বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নলছিটি থানাধীন সরমহল গ্রামে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী ও শশুরকে পিটিয়ে জখম করেছে জামাই ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন।গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় ঘটনা ঘটে।
এতে আহতরা হলেন সর মহল গ্রামের মৃত জয়ন উদ্দিন হাওলাদার এর ছেলে লিটন হাওলাদার (৫০) ও লিটন হাওলাদারের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার বিথী (২১)। পরে স্থানীয়রা আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে নলছিটি থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে। সেখানে গুরুতর আহতদের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
আহত সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ আড়াই বছর আগে নলছিটি থানাধীন সরমহল গ্রামের লিটন হাওলাদারের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার বীথির সাথে পারিবারিকভাবে একই গ্রামের মৃত আউয়াল শেখের ছেলে বিজয় শেখের সাথে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে বিজয় শেখ যৌতুকের জন্য তার স্ত্রীর সুমাইয়া আক্তার বিথি কে মারধর করে।
এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ড এর ইসাহাক মেম্বারের মাধ্যমে সালিশ মীমাংসা করানো হলে সালিশ মীমাংসার পরে কয়েকদিন ভালো থাকলেও পুনরায় আবার টাকার জন্য মারধর করে স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার বিথি কে।
আহত সূত্রে আরও জানাই বিজয় শেখ পেশায় একজন ভাড়ায় চলিত মোটরসাইকেল চালক নতুন মোটরসাইকেল ক্রয়ের জন্য স্ত্রীর মাধ্যমে তার বাবার বাড়ি থেকে এক লক্ষ টাকা যৌতুক আনতে বলে। এতে স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার বিথী রাজি না হলে তাকে অমানবিক নির্যাতন করে।।
এ ঘটনার পরে স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার বিথী ও তার ছোট ভাই সাইদুল স্থানীয় আলমগীর হোসেন চেয়ারম্যান এর কাছে বিচারের জন্য যায়। আলমগীর হোসেন চেয়ারম্যান কে না পেয়ে তার ভাই জাহাঙ্গীর এর কাছে বিচার দিয়ে আসার পথে বাজারের মধ্যে সুমাইয়া আক্তার বিথীর সাথে তার বাবার সাথে দেখা হয়।
এ সময় বাজারে বসে সুমাইয়া আক্তার বিথী তার বাবার সাথে তার বাবার বাড়ি রওনা দিতে গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিজয় শেখ তার ভাই বাদশা শেখ মামা বিপুল সহ অজ্ঞাত ৮-১০ জন লাঠি ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে লিটন হাওলাদার ও সুমাইয়া আক্তার বিথি কে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়।
এ সময় প্রতিপক্ষরা শশুর লিটন হাওলাদার কে কুপিয়ে ও স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার বিথীকে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে।পরে আহতদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে আহতরা শেবাচিমের সার্জারি ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।