বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
একাধিক মামলার আসামি খুলনার সংসদ সদস্য কুয়াকাটায় গ্রেফতার  মহিষ বাধাকে কেন্দ্র করে মেহেন্দিগঞ্জে একজনকে পিটিয়ে জখম। মঠবাড়িয়ায় মন্দিরের মাটি কাটা কে কেন্দ্র করে বাপ ছেলেকে পিটিয়ে জখম। মেহেন্দিগঞ্জে শাশুড়ি কর্তৃক মেয়ে জামাইয়ের উপর হামলা। বাউফলে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মৎস্যজীবি দলের সভাপতিকে দল থেকে অব্যাহতি বানারীপাড়ায় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের ৪ নেতা-কর্মীর জামিন মঞ্জুর কাঠালিয়ায় যড়যন্ত্রমূলক হত্যা মালায় দুই ব্যক্তিকে আসামী করে হয়রানির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন নগরীতে চুরির প্রতিবাদ করায় দুই যুবককে পিটিয়ে জখম  পাথরঘাটা দেবর কর্তৃক বড় ভাবিকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ।
শেবাচিম হাসপাতালে ঈদের ছুটিতে ৬০ রোগীর মৃত্যু

শেবাচিম হাসপাতালে ঈদের ছুটিতে ৬০ রোগীর মৃত্যু

অনলাইন ডেস্কঃ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ঈদুল আজহার চার দিনের সরকারি ছুটিতে  চিকিৎসাধীন ৬০ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে স্বাভাবিক বললেও রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, চার দিন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের ওপর ভরসা করে চলতে হয়েছে। সিনিয়র চিকিৎসক কেউ সেবা দিতে আসেননি।

হাসপাতালের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারি ছুটির প্রথম দিন (২৭ জুন) হাসপাতালে ১ হাজার ১৬৭ জন রোগী ভর্তি হন। ওই দিন নতুন ১৩ জনসহ মোট ৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর মধ্যে একজন ডেঙ্গু আক্রান্তসহ মোট ১৫ জন বিভিন্ন ওয়ার্ডে মারা যান।

সরকারি ছুটির দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ঈদুল আজহার আগের দিন (২৮ জুন) ১ হাজার ২০৫ জন রোগী ভর্তি হন। এর মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৯ জন রোগী ছিলেন। ওই দিন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত সর্বাধিক ২০ জনের মৃত্যু হয়।

আর ঈদের দিন (২৯ জুন) হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন ১ হাজার ৬৫ জন রোগী। এর মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন রোগী ছিলেন ২৬ জন। ওই দিন ডেঙ্গু আক্রান্ত একজনসহ ১৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়।

ঈদের দ্বিতীয় দিন (৩০ জুন) চিকিৎসাধীন ছিলেন ১ হাজার ১৬৭ জন। ডেঙ্গুর লক্ষণ নিয়ে নতুন ১০ জন ভর্তি হন। ওই দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর মধ্যে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ১২ জন মারা যান।

মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন রফিকুল ইসলাম  বলেন, রোগীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঈদের সময় আমাদের হাসপাতালেই থাকতে হয়েছে। দুর্ভাগ্য হচ্ছে এই চার দিনে কোনো চিকিৎসক আসেননি। মাঝেমধ্যে দুয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক এসে ঘুরে যেতেন আর অল্প কয়েকজন নার্স ছিলেন। সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় ছিলাম, হাসপাতালে এসেও আমার বাবাকে যেন বিনা চিকিৎসায় মারা যেতে না হয়।

গাইনি ওয়ার্ডের আরেক রোগীর স্বজন মহিমা বেগম  বলেন, ‘ঈদের ছুটির সময়ে বড় কোনো ডাক্তার তো আসেননি তার উপর নার্সদের সঙ্গে কথা বলাও যেত না। কিছু বলতে গেলেই ধমক দিতেন। বলতেন, ঈদের সময়ে ডিউটি করি এটাই বড় কথা। এছাড়া রোগীর অবস্থা সিরিয়াস না হলে কেউ যেন তাদের অহেতুক বিরক্ত না করি সেজন্য ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নির্দেশ দিয়েছেন। তখন এক রোগীর স্বজন প্রশ্ন তোলেন, হাসপাতালে কি সুস্থ রোগী ভর্তি হন?’

 

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। ঈদের বন্ধের সময় যে সংখ্যক রোগীর মৃত্যু হয়েছে তা হাসপাতালের স্বাভাবিক ঘটনা। ডাক্তার-নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রোস্টার অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছেন। চিকিৎসায় অবহেলার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

Please Share This Post in Your Social Media




পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
DEVELOP BY SJ WEB HOST BD
Design By Rana