বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মাদক ব্যবসায়ীকে আহবায়ক কমিটিতে স্থান দেয়ার পর সংগঠনের দাপ্তরিক দায়িত্ব দিয়ে আবারো বিতর্কে জড়ালো বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি। কোন কিছুতেই যেন পিছু ছাড়ছে না দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিকে। নেতৃত্বের দূরদর্শিতা আর ব্যর্থতার কারণেই একের পর এক বিতরকের জন্ম দিচ্ছে বলে মনে করেন দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
দেখা গেছে আবুল হোসেন খান ও আবুল কালাম শাহীনের নেতৃত্বে গঠিত বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে সদস্য পদে ঠাই পায় আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী দলে বিতর্কিত মুশফিকুল হাসান মাসুম। এই মুশফিকুল হাসান মাসুম ২০১৮সালের ৭ নভেম্বর বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল সহ এক সহযোগীকে নিয়ে ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়। মাসুম পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী হওয়ায় আটকের পূর্বেই গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারিতে ছিল।
এই সু চতুর মাসুম মাদক মামলা থেকে জামিনে বের হয়ে তার মাদক মামলা ভিন্ন খাতে নিতে নানা কৌশল আটে। মাদকের ঘটনা রাজনৈতিক খাতে প্রবাহিত করতে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র এক নেত্রীর সাথে ধীরে ধীরে সখ্যতা গড়ে তোলে। বর্তমানে ওই কেন্দ্রীয় নেত্রীর এজেন্ডা বাস্তবায়নে লবিস্ট হিসেবে কাজ করছে মামুন। সে বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ বাণিজ্য করে অযোগ্য-অসাংগঠনিক লোকদেরকে দলে অনুপ্রবেশ করাচ্ছে ।
ওই নেত্রীর মাধ্যমেই দক্ষিণ জেলা বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার সাথে গড়ে ওঠে মধুর সম্পর্ক। যার ফলে মাদক ব্যবসায়ী মাসুমকে শুধু দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য করেই ক্ষ্যান্ত হননি। দলের ভিতরে অনেক ত্যাগী সদস্য থাকতেও এই বিতর্কিত মুশফিকুল হাসান মাসুমকে গত ২৭মার্চ বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির দাপ্তরিক দায়িত্ব প্রদানকরা হয়। যা নিয়ে দলের ভিতর ইতিমধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপি আবারো জড়িয়ে পরেছে বিতর্কে।