নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বানারীপাড়া থানার চাখার ইউনিয়নের বড় চাউলাকাঠী গ্রামে এক গৃহবধূকে কুপ্রস্তাতে রাজি না হওয়ায় ওই গৃহবধূ ও তার শাশুড়িকে পিটিয়ে গুরত্বর জখম করে গ্রাম চৌকিদার বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল শুক্রবার সকাল ৯ টায় বড় চাওলা কাঠী গ্রামের সরদার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।
এতে তাহারিমা বেগম (১৮) ও সোনা বান বেগম (৫০) নামের দুইজন গুরুতর আহত হয়। আহত তাহরিমা বেগম চাখার বড় চাউলা কাঠী গ্রামের বেল্লাল মিয়ার স্ত্রী।

বেল্লাল দীর্ঘদিন যাবত স্বরূপকাঠি এলাকার একটি নার্সারিতে কর্মরত রয়েছে। আহত সূত্রে জানা যায় চাখার ইউনিয়ন পরিষদের সবুজ চৌকিদার দীর্ঘদিন যাবত তার বাড়ির পাশর্বতী তাহরিমা বেগমকে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছে।

এতে তাহারিমা বেগম রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন সময় তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে শাসিয়ে বেড়াচ্ছে গ্রাম চৌকিদার সবুজ। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার সকাল ৯ টায় গাছের মুড়া উঠানো নিয়ে তাহারিমা বেগমের শাশুড়ি সোনা বান বেগমের সাথে পার্শ্ববর্তী সবুজ চৌকিদারের মা ফরিদা বেগমের কথা কাটাকাটি হয়।

এ সময় সবুজ চৌকিদার পূর্ব শত্রুতার জেরে সোনাবান বেগমকে লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে। এ সময় সবুজ-চৌকিদার, তার বাবা মালেক হাওলাদার মা ফরিদা বেগম, আখি, শিমু সহ অজ্ঞাত ২-৩ জন লাঠি দিয়ে সোনা বানকে এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করে।

এ সময় আহতর ডাক চিৎকারে ছেলে বউ তাহরিমা বেগম ছাড়াতে গেলে তাকেও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

বর্তমানে এ ঘটনায় গুরুতর আহত তাহরিমা বেগম শেবাচিমের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে মারধরের পর থেকে সবুজ চৌকিদার আহত পরিবারদের মামলা না দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।