বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
বরিশাল রিপোর্টঃ নিষেধাজ্ঞার শুরুর আগে বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বড় ইলিশের মোকাম বরিশাল নগরীর পোর্টরোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ইলিশ বেচাকেনার উপচেপড়া ভিড়। সন্ধ্যার পর কীর্তনখোলা নদী থেকে খাল দিয়ে একের পর এক ইলিশবোঝাই নৌকা, ট্রলার, স্পিড বোট এসে ভিড়ছে ঘাটে।
সড়ক পথেও বিভিন্ন স্থান থেকে গাড়িবোঝাই করে এসেছে ইলিশ। ঘাটে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে সেসব গাড়ি ও নৌযানকে ঘিরে ধরছেন পোর্ট রোড ইলিশ মোকামের আড়তদাররা। এরপর পাইকারদের সঙ্গে মোকামের আড়তদারদের চলছে দর কষাকষি।
দাম নিয়ে বনিবনা হলে ইলিশ কিনে স্তুপ করে রাখছেন আড়তের সামনেই। পাইকারদের পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে সেই ইলিশ বিক্রির জন্য ডাকে তুলছেন আড়তদাররা। এরপর খুচরা বিক্রেতারা সেই ডাকে অংশ নিয়ে কিনছেন ইলিশ। ইলিশের ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে রাতেও সরগরম ছিল পোর্ট রোড মোকাম।েএমন কি ছোট ছোট দোকানেও উপচে পড়া ভিড়।
সন্ধ্যার পর ইলিশের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দামও কমতে শুরু করে। দাম কমার কারণে সাধারন ক্রেতারাও যে যার সাধ্যমত ইলিশ কিনেছেন।
নগরীর পোর্টরোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তদার ও সাধারণ ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে মোকামে এক কেজি ওজনের ইলিশের পাইকারি মণ গেছে ৪৪ হাজার টাকা। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে রাত ৯টার দিকে সেই ইলিশের মণ ছয় হাজার টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ৩৬ হাজার টাকায়।
তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞার আগের দিন বৃহস্পতিবার (০৬ অক্টোবর) বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বড় ইলিশের মোকাম বরিশাল নগরীর পোর্টরোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ক্রেতাদের ছিল উপচেপড়া ভিড়। তবে সকালের দিকে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় ইলিশের দাম ছিল চড়া।
এছাড়া কিছু পাইকার বাড়তি লাভের আশায় ইলিশ বরফ দিয়ে রেখেছিলেন। সেসব ইলিশও বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। এসব কারণে পোর্টরোড মোকামে বিপুল পরিমাণ ইলিশ আমদানি হয়েছে।