বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
একাধিক মামলার আসামি খুলনার সংসদ সদস্য কুয়াকাটায় গ্রেফতার  মহিষ বাধাকে কেন্দ্র করে মেহেন্দিগঞ্জে একজনকে পিটিয়ে জখম। মঠবাড়িয়ায় মন্দিরের মাটি কাটা কে কেন্দ্র করে বাপ ছেলেকে পিটিয়ে জখম। মেহেন্দিগঞ্জে শাশুড়ি কর্তৃক মেয়ে জামাইয়ের উপর হামলা। বাউফলে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মৎস্যজীবি দলের সভাপতিকে দল থেকে অব্যাহতি বানারীপাড়ায় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের ৪ নেতা-কর্মীর জামিন মঞ্জুর কাঠালিয়ায় যড়যন্ত্রমূলক হত্যা মালায় দুই ব্যক্তিকে আসামী করে হয়রানির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন নগরীতে চুরির প্রতিবাদ করায় দুই যুবককে পিটিয়ে জখম  পাথরঘাটা দেবর কর্তৃক বড় ভাবিকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ।
বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির নতুন নেতৃত্বে ত্যাগীদের দেখতে চায় মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা

বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির নতুন নেতৃত্বে ত্যাগীদের দেখতে চায় মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ত্যাগী ও আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে থাকা নেতাদের দিয়ে বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি দেখতে চায় মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীরা। দলের দুর্দিনে মাঠে থেকে কর্মীদের পাশে থাকা, সরকার দলীয় লোকজনের হামলা মামলার শিকার বিএনপি কর্মীদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া নেতাই বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে আসুক এমনটাই প্রত্যাশা বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপি’র তৃণমূল নেতা-কর্মীদের।

 

আর এই কর্মীবান্ধব মানুষটি দলের দুর্দিনে বিএনপি সমর্থকদের পাশে থাকতে গিয়ে বারবার হামলা মামলা এবং কারাবরণের শিকার হতে হয়েছে। সামনে সদর উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ওই মানুষটির নামই বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির সমার্থকদের মাঝে বারবার উচ্চারিত হচ্ছে। সেই মানুষটি হলো বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি, রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি, বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব নুরুল আমিন।

 

আলহাজ্ব নুরুল আমিন ২০০১ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তৎকালীন বরিশাল জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র ও সাংসদ আলহাজ্ব এ্যাড. মজিবর রহমান সরোয়ারের আহবানে সাড়া দিয়ে বিএনপির একজন প্রথম সারির কর্মী হিসাবে বিএনপিতে সক্রিয় হন । সেই থেকেই আন্দোলন সংগ্রামে সামনের কাতারে থেকে দলের জন্য সক্রিয় ভাবে কাজ করে আসছে। সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে দলের পক্ষ থেকে মসজিদ, মাদরাসা স্কুল কলেজ সহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ।

 

বিএনপি নেতাকর্মী কিংবা তাদের স্বজনদের মৃত্যুতে জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করা এবং অসচ্ছল পরিবারকে আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করা যেন আলহাজ্ব নুরুল আমিনের নিত্যদিনের কাজ। আলহাজ্ব নুরুল আমিনের সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নেই সরব উপস্থিতি থাকায় বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে তিনি ইতিমধ্যে আস্থাভাজন হয়ে উঠেছে । আলহাজ্ব নুরুল আমিন ২০১৩ সালে বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, ২০১৪ সালে রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক, ২০১৭ সালে এি-বার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন।

 

২০২১ সালে তিনি পুনরায় রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়ন বিএনপি তথা চারদলীয় জোট থেকে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আলহাজ্ব নুরুল আমিন। তিনি ২০০৩ সালে বিসিসি নির্বাচনে নগরীর ২৭নং ওয়ার্ডে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব এ্যাড. মজিবর রহমান সরোয়ারে পক্ষে কনভেনারের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালে দ্বিতীয় বারের মতোন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় কর্তৃক ৩বার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এতে তিনি সরকারী খরচে মালায়েশিয়া,সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন ও চায়নার স্হানীয় সরকারের কার্যক্রম পরিদর্শনের সুযোগ পান । বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরুল আমিন সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে এপর্যন্ত ২২টি মামলার শিকার হয়েছেন। বহুবার পুলিশী হামলার শিকার এবং কারাবরণ করতে হয়েছে তাকে। তার পরিবারকেও অনেক ঘাতপ্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে দিন পার করতে হচ্ছে।

 

ব্যবসায়িক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অপরিসীম। ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর পুলিশের পিটুনিতে গুরুগত আহত হন। সেই অসহ্য যন্ত্রনায় আজও শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করছেন এই কর্মীবান্দব নেতা। পুলিশ তার গ্রামের বাড়িতে বহুবার তল্লাশীর নামে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও মূল্যবান মালামাল তসরুপ করে। বিএনপির এই নেতা যেমনিএকজন সফল সমাজ সেবক তেমনি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত তিনি ১৯৯৩ সালে এম.এ পাশ করেন। একজন সফল ব্যবসায়ী হয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র রাজনীতির সাথে নিজেকে কেন সম্পৃক্ত করলেন প্রতিবেদকের এমোন প্রশ্নের? উত্তরে আলহাজ্ব নুরুল আমিন বলেন, জীবনের শুরু থেকেই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ লালন ও ধারণ করে পথ চলতে ছিলাম। হঠাৎ করেই রাজনীতিতে সক্রিয় হই।

 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্তের প্রতি পূর্ন আস্থা রেখে রাজনীতির পথ চলছি। জীবনের শেষ সময়টুকু পর্যন্ত নীতি আদর্শ নিয়ে চলতে চাই। কর্মীদের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। তিনি আরো বলেন বিএনপি একটা পরিবার, আমি ওই পরিবারের একজন সামান্য সদস্য। আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যে নির্দেশ আসবে তা স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করব ইনশাআল্লাহ।

Please Share This Post in Your Social Media




পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
DEVELOP BY SJ WEB HOST BD
Design By Rana