বরিশালের মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকে রোগীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে এই হামলায় দর্শনার্থীদেরও মারধর করে দুর্বৃত্তরা।

আহতরা হলেন- ওই উপজেলার সদর ইউনিয়নের খালাসীরচর গ্রামের সেকান্দার বেপারীর ছেলে এমদাদুল বেপারী, তার ভাই ইউনুছ বেপার ও তাদের স্বজন মোকলেছ বেপারীর স্ত্রী শিফা বেগম।

আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহত সেকান্দার বেপারী জানান, তাদের সাথে একই এলাকার আলতাফ বেপারীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। যা নিয়ে বুধবার বৈঠক হলে, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সীমান নির্ধারণের কাজ শুরু করে।

সীমানা পিলার স্থাপনের সময় আলতাফ বেপারী, তার ছেলে রাকিব বেপারীসহ তাদের লোকজন লাঠি সোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে তিনি ও তার ছেলে এমদাদুল এবং তার স্বজন ইউনুছ ও শিফা বেগম আহত হন।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে পুনরায় রাকিব বেপারী ও তার লোকজন হামলা চালায়। দ্বিতীয় দফা হামলায় সেকান্দারের ছেলে এমদাদুলের হাতের রগ কেটে যায়। এছাড়া সেকান্দার এবং শিফা বেগমও আহত হন।

মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইয়েদুর রহমান জানান, মারামারির ঘটনায় আহত কয়েকজন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে আসলে জরুরি বিভাগে থাকা অবস্থায় তাদের ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। এওতে হাসপাতাল জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তবে তার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাকসুদুর রহমান জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলার খবর পেয়ে একদল পুলিশ সেখানে পাঠানো হয়েছে। তবে হামলাকারী কাউকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।