বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২২ অপরাহ্ন
বরিশাল রিপোর্টঃ বরিশালে তামান্না আফরিন (১৫) নামে এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে নগরীর ১৩নাম্বার ওয়ার্ডে দক্ষিণ আলেকান্দা কাজীপাড়া এলাকা থেকে।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) দুপুরে নিহতের নানার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রী রফিকুল ইসলাম টিপুর বড় মেয়ে এবং এআরএস বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পিতার অভিযোগ, তামান্নাকে মারধর করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার প্রচার চালানো হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তামান্নার মা জাকিয়া বেগম।
তামান্নার মায়ের সঙ্গে প্রায় তিন বছর আগে রফিকুল ইসলাম টিপুর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে তামান্না মায়ের সঙ্গে নানাবাড়ি বসবাস করছিলো।
পারিবারিক সূত্র জানায়, সম্প্রতি তামান্না রাতভর ফোনে কারো সঙ্গে কথা বলতো, আবার কখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রাতে ফেসবুক ব্যবহার করতো। এতে দিনের বেলায় সে ঘুমাতো। আজ শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ঘুম থেকে ওঠে সে। পরে সে বাসার দোতালায় যায়। বিকাল সোয়া ৩টার দিকে তামান্নার মা অফিস থেকে বাসায় ফেরার পর মেয়ের খোঁজে দোতলায় গিয়ে দেখেন ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে তামান্না।
সময় তার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা গিয়ে তামান্নাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের মা জাকিয়া বেগমের দাবি, আমার মেয়ে তামান্না খুব ইমোশনাল ছিল। রাত জেগে ফেসবুক ও ইউটিউবে আসক্ত থাকার কারণে গত শব-ই বরাতের রাতে রাগ করে ওর হেডফোন নষ্ট করে ফেলি।
পরে আবার মেয়ের আবদারে হেডফোন কিনে দিই। এছাড়া সম্প্রতি তাকে কোনও ধরনের বকাঝকা করিনি; যার জন্য সে আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিতে পারে।
তবে তামান্নার বাবা রফিকুল ইসলাম টিপু বলেন, তার (তামান্না) মেয়েকে তার নানী ও মামা মিলে মারধর করে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার প্রচারণা চালিয়েছে। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানান, তামান্নার মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।