বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
একাধিক মামলার আসামি খুলনার সংসদ সদস্য কুয়াকাটায় গ্রেফতার  মহিষ বাধাকে কেন্দ্র করে মেহেন্দিগঞ্জে একজনকে পিটিয়ে জখম। মঠবাড়িয়ায় মন্দিরের মাটি কাটা কে কেন্দ্র করে বাপ ছেলেকে পিটিয়ে জখম। মেহেন্দিগঞ্জে শাশুড়ি কর্তৃক মেয়ে জামাইয়ের উপর হামলা। বাউফলে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মৎস্যজীবি দলের সভাপতিকে দল থেকে অব্যাহতি বানারীপাড়ায় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের ৪ নেতা-কর্মীর জামিন মঞ্জুর কাঠালিয়ায় যড়যন্ত্রমূলক হত্যা মালায় দুই ব্যক্তিকে আসামী করে হয়রানির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন নগরীতে চুরির প্রতিবাদ করায় দুই যুবককে পিটিয়ে জখম  পাথরঘাটা দেবর কর্তৃক বড় ভাবিকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ।
মালিকানা দ্বন্দ্বে অস্থির ব্যাংকিং খাত চলছে ক্ষোভ-বিক্ষোভ

মালিকানা দ্বন্দ্বে অস্থির ব্যাংকিং খাত চলছে ক্ষোভ-বিক্ষোভ

অনলাইন ডেক্সঃ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তনের হাওয়ায় অস্থির হয়ে উঠেছে ব্যাংকিং খাত। একের পর এক বাণিজ্যিক ব্যাংকে চলছে ক্ষোভ-বিক্ষোভ। ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আমলে দখল হওয়া বিভিন্ন ব্যাংক ফেরত পেতে পুরোনো উদ্যোক্তারা তৎপর হয়ে উঠেছেন। কোনো কোনো ব্যাংকে মালিকদের মধ্যে চলছে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই। আবার দীর্ঘদিনের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কোনো কোনো ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এমনিতেই অধিকাংশ ব্যাংকে তারল্যসহ নানা সংকট চলছে। তার ওপর নতুন এই অস্থিরতা যুক্ত হয়ে দেশের ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকি বাড়াবে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। তারা বলছেন, গত দেড় দশকে ব্যাংক খাতে দখল, অবৈধ নিয়োগ-পদোন্নতিসহ যেসব অন্যায়-অবিচার ঘটেছে, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার স্বার্থেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে তার প্রতিকার করা দরকার।

জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পরদিন থেকে বিভিন্ন ব্যাংকে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে গত ৭ আগস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিক্ষোভের পর অন্যান্য ব্যাংকেও তা ছাড়িয়ে পড়েছে। যেসব ব্যাংকের মালিকানা দ্বন্দ্ব ছিল, সেগুলোতেই ক্ষোভ-বিক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বেশি দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি অস্থিরতা দেখা গেছে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংকে। ব্যাংকটিতে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকসহ অন্তত ১০টি ব্যাংকে মালিকানার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য হয়ে উঠেছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকে যে ভঙ্গুর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার বিস্তৃতি কতটা, তা জানতে নিরীক্ষা করা দরকার। এর ভিত্তিতে ঠিক করতে হবে, এসব ব্যাংকের সংস্কার কীভাবে হবে এবং শেষ পর্যন্ত এগুলোর দায়দায়িত্ব কার ওপর দেওয়া হবে। এ ছাড়া পদ্মা ব্যাংকের মতো শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে সরকারি হস্তক্ষেপ লাগবে। এসব ব্যাংক সরকার সীমিত সময়ের জন্য অধিগ্রহণ করতে পারে কিংবা অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করতে পারে।’

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি ইসলামী ব্যাংকের আগের মালিকদের হটিয়ে নিয়ন্ত্রণ নেয় চট্টগ্রামভিত্তিক একটি শিল্প গ্রুপ। সেদিন সকালে ব্যাংকটির তৎকালীন চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও একজন ভাইস চেয়ারম্যানকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক। সেখানে ওই শিল্প গ্রুপের প্রতিনিধিদের পরিচালক পদে বসানো হয়।

মালিকানা বদলের পর মাত্র সাত বছরে এক সময় দেশের এক নম্বর অবস্থানে থাকা ইসলামী ব্যাংক পাহাড়সম অনিয়মের চাপে পর্যুদস্ত হয়ে পড়ে। ব্যাংকটির বিপুল অঙ্কের আমানত রীতিমতো নিজস্ব ব্যবসায়িক তহবিলে রূপান্তরিত করে নতুন নিয়ন্ত্রক গ্রুপ। ফলে একেবারে মৌলিক কার্যক্রম পরিচালনা করতেও ব্যাংকটিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে গত ৬ আগস্ট কর্মকর্তাদের একটি অংশ নতুন মালিকদের কাছ থেকে সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের ব্যাংক থেকে বের করে দেন। এরপর গত ১১ আগস্ট আলোচিত শিল্প গ্রুপের পক্ষের কর্মকর্তারা বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের দখল নিতে যান। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন ৭ জন। তবে শেষ পর্যন্ত হামলাকারীরা ব্যাংকের কার্যালয়ের ভেতর ঢুকতে পারেনি।

শুধু ইসলামী ব্যাংক নয়, ২০১৭ সালে শরিয়াহভিত্তিক আরেক ব্যাংক স্যোসাল ইসলামী ব্যাংকেরও দখলে নেয় চট্টগ্রামের ওই শিল্প গ্রুপ। অভিযোগ আছে, ব্যাংকটির তৎকালীন পরিচালকদের জোর করে একটি হোটেলে নিয়ে পদ ছাড়তে বাধ্য করা হয়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকের ওই সময়কার চেয়ারম্যান মেজর (অব.) ডা. রেজাউল হক, পরিচালক আনিসুল হকসহ কয়েকজন ব্যাংকে যান। তারা ব্যাংকে গিয়ে বোর্ডরুম ও চেয়ারম্যানের জন্য নির্ধারিত কক্ষে গিয়ে বসে পড়েন। এ সময় অনেক কর্মকর্তা সেখানে জড়ো হয়ে ব্যাংকটিকে দখলমুক্ত করার দাবি জানান। বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তাদের চাপে তাৎক্ষণিকভাবে পদত্যাগে বাধ্য হন ব্যাংকের ডিএমডি আব্দুল হান্নান খান ও মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। ব্যবস্থাপনা পরিচালক তখন উপস্থিত ছিলেন না। আর পরিচালনা পর্ষদের সবাই আত্মগোপনে থাকায় তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ হবে কি না—তা নিশ্চিত নয়।

অন্যদিকে, গত রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডারদের একটি পক্ষ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালে এসআইবিএলের মালিকানা অস্ত্রের মুখে দখল করে নেয় তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সমর্থনপুষ্ট শিল্প গ্রুপ। ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের চরমভাবে হেনস্তা করে এক দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নরের যোগসাজশে অবৈধভাবে রাতের আঁধারে ব্যাংকটির মালিকানা পরিবর্তন করা হয়। এরপর ব্যাংকটি লুটপাট করা হয়।

সরকার পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকেও (ইউসিবি)। ২০১৭ সালে ইউসিবির পর্ষদ থেকে পারটেক্স গ্রুপের সবাইকে সরিয়ে কর্তৃত্ব নেয় সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের পরিবার। এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাদের আর ব্যাংকে ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শেয়ারহোল্ডার ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, ইউসিবির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পারটেক্স গ্রুপের এম এ হাসেম পরিবার মালিকানা ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করছে। এজন্য বুধবার কয়েকজন শেয়ারহোল্ডারের নামে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও বিএসইসি চেয়ারম্যান বরাবর একটি চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে ব্যাংকের আর্থিক দুরবস্থার চিত্র তুলে ধরে অবিলম্বে মালিকানার পরিবর্তন চাওয়া হয়।

অন্যদিকে, গতকাল সোমবার শেয়ারহোল্ডারদের ব্যানারে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার পরিবারের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ব্যানারে লেখা ছিল ‘স্বৈরাচার সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী দুর্নীতিবাজ অবৈধভাবে লন্ডনে ইউসিবি ব্যাংকের ১২ হাজার কোটি টাকা পাচারকারী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার পরিবার থেকে ইউসিবি ব্যাংকের মুক্তি চাই। লুটেরা প্রতিহত কর। ইউসিবি ব্যাংক রক্ষা কর।’

এদিকে, কিছুদিন আগে মালিকানা বদল হওয়া ন্যাশনাল ব্যাংকে ফের পরিবর্তনের গুঞ্জন উঠেছে। প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকদের মধ্যে আবদুল আউয়াল মিন্টু ও আবু তাহের মিয়া ব্যাংকটির মালিকানায় ফিরতে চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন সিকদার পরিবারের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকটি গত এক বছরে দুবার মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে। প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক খলিলুর রহমান বর্তমানে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদে থাকলেও এই ব্যাংকেও চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্প গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বলে মনে করা হয়।

মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে আইএফআইসি ব্যাংকেও। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের আগে ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ছিল বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলীর ফালুর নেতৃত্বাধীন পর্ষদের কাছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে এর নিয়ন্ত্রণ নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি এখনো ব্যাংকটির চেয়ারম্যান। রোববার প্রধান কার্যালয়ের সামনে ব্যাংকটির চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা বিক্ষোভ করেছেন। তারা বর্তমান চেয়ারম্যানসহ পর্ষদের পরিচালকদের পদত্যাগ দাবি করেছেন। একই সঙ্গে সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ এ সরোয়ারের সময়ে ‘অন্যায়ভাবে’ যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়।

জানা আছে, মালিকানার দ্বন্দ্ব সামনে আসার আগেই ব্যাংকটির সাবেক কর্মীদের চাকরি পুনর্বহালের ঘোষণা দেন এমডি। এরপর চাকরিচ্যুতরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে ফিরে যান।

এখনো প্রকাশ্যে কিছু না ঘটলেও মালিকানা দ্বন্দ্বে অস্থির হতে পারে এনআরবিসি ব্যাংক। ২০১৩ সালে ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাকালে চেয়ারম্যান ছিলেন ফরাছত আলী। ওই সময় ব্যাংকটিতে বেনামি শেয়ার ধারণ ও স্বাক্ষর জাল করে ঋণ অনুমোদনসহ বেশ কিছু অভিযোগ ওঠে। ওই প্রেক্ষাপটে ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে বসেন এস এম পারভেজ তমাল। ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিতে তিনি জবরদস্তি করেছেন বলে আগের পরিচালকরা অভিযোগ তোলেন। কয়েক বছর ধরে এই ব্যাংকে নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। তবে পারভেজ তমালের সঙ্গে বিগত সরকারের বিভিন্ন মহলের ঘনিষ্ঠতার কারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদেও সরকার পরিবর্তনের প্রভাব পড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

নতুন প্রজন্মের আরেক ব্যাংক সাউথবাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের মালিকানা নিয়েও চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। ২০১৩ সালে ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার সময় চেয়ারম্যান ছিলেন লোকপুর গ্রুপের কর্ণধার আমজাদ হোসেন। নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর ২০২১ সালে তিনি পদ হারালে চেয়ারম্যান হন শিল্পপতি আবদুল কাদির মোল্লা। কিন্তু ২০২৩ সালের আগস্টে ব্যাংকটির পর্ষদ তাকে বাদ দিয়ে ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক এ জেড এম শফিউদ্দিন শামীমকে চেয়ারম্যান করে। এরপর নিজের পদ ফিরে পেতে কাদির মোল্লা অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে পরিচালকদের চাপের মুখে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান পদত্যাগ করেন। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে তিনি পদে ফেরেন।

এদিকে গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কুমিল্লা-৮ আসনে এমপি হয়েছিলেন সাউথবাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ জেড এম শফিউদ্দিন শামীম। বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। আর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনও দেশত্যাগের সময় সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন। সব মিলিয়ে ব্যাংকটির মালিকানায় পরিবর্তন আসবে বলে সয়ংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন।

বিভিন্ন ব্যাংকে বিক্ষোভ

নামে-বেনামে ঋণ দিয়ে তা পাচারে সহায়তাকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা, অবৈধ নিয়োগ বাতিল, জোর করে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালসহ বিভিন্ন দাবিতে কিছু ব্যাংকে গতকাল বিক্ষোভ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে বুধবার নজিরবিহীন বিক্ষোভের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তাকে বের করে দেওয়ার পর গতকাল বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেল।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতি ও রোববার বেসরকারি খাতের ওয়ান, বাংলাদেশ কমার্সসহ কয়েকটি ব্যাংকে বিক্ষোভ হয়। অন্যদিকে সুযোগ-সুবিধা ও ইনসেনটিভের দাবিতে রাষ্ট্রীয় মালিকানার সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকে বিক্ষোভ হয়। পদোন্নতির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তারা বিক্ষোভ করেন।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যাংকিং খাতের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক প্রেসিডেন্ট নুরুল আমিন কালবেলাকে বলেন, ‘যেসব ব্যাংকের এখন সমস্যা তৈরি হয়েছে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিদায়ী সরকারের আমলে মালিকানায় পরিবর্তন হয়েছে। এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগের মালিকরা ফিরে আসতে চাইছেন; কিন্তু গুলি করে বা দখল করে তো ব্যাংকের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। এজন্য প্রক্রিয়া আছে। সে প্রক্রিয়ায় যেতে হবে। যদি সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক চায় সাবেক মালিকদের কাছে ব্যাংক ফিরিয়ে দেবে, তাহলে সেটাও হতে পারে।’

এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর থাকা খুবই জরুরি ছিল। তাহলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাংকগুলোর সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হতো। সে ক্ষেত্রে এখন ব্যাংকগুলোর সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন গভর্নরের অপেক্ষা করতে হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media




পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
DEVELOP BY SJ WEB HOST BD
Design By Rana