বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মঠবাড়িয়া থানাধীন সংরাইল গোলবুনিয়া গ্রামে কালী মন্দিরের মাটি কাটা কে কেন্দ্র করে বাপ ছেলেকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। এতে আহতরা হলেন সাংরাইল গোলবুনিয়া এলাকার ধীরেন হাওলাদার এর ছেলে সুজন হাওলাদার (৫০) ও সুজন হাওলাদার এর ছেলে সম্পদ হাওলাদার (১৬)।
গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে চারটায় বাড়ির পাশের পানের বরে বসে এই হামলার ঘটনা ঘটে।পরের স্থানীয়রা আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।সেখানে সম্পদ হাওলাদার স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয় ও সুজন হাওলাদারের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
আহত সূত্রে জানা গেছে,বাড়ির পার্শ্ববর্তী দুলা কাকার কাছ থেকে মন্দিরের পাশের জমি থেকে কিছু মাটি কেটে নেওয়ার কথা বলে সুজন হাওলাদার।এবং দুলা কাকা সেখান থেকে মাটির নেওয়ার অনুমতি দিলে সুজন হাওলাদার তার গাছের জন্য কিছু মাটি কাটতে যায়।
এ সময় পার্শ্ববর্তী কিশোর গোমস্তা ও শিশির গোমস্তা দুই ভাই এসে তাদের মাটি কাটতে বাধা দেয়।এ সময় সুজন হাওলাদার পুনরায় সেখানে মাটি ভরে দেবে বলে জানালেও কিশোর ও শিশির তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভয় ভীতি দেখায়।এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে কত কাটাকাটি হলে স্থানীয়রা দুই পক্ষকে দুই দিকে সরিয়ে দেয়।
অথচ এতে ক্ষান্ত হয়নি কিশোর গোমস্তা ও তার ভাই শিশির গোমস্তা। সুজন হাওলাদার কে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো দা ও লাঠি সোটা নিয়ে সুজন হাওলাদারের পানের বড়ে গিয়ে পিছন থেকে আচমকা হামলা চালায়।এ সময় সুজন হাওলাদারের ছেলে সম্পদ হাওলাদার কে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করে। সুজন হাওলাদার তার ছেলেকে বাঁচাতে গেলে তাকেও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
পরে আহতদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে আহত সুজন হাওলাদার শেবাচিমের সার্জারি ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।