বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন
করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে দেশব্যাপী সরকারের ঘোষিত লক ডাউন ঢিলে ঢালা ভাবে চলছে বরিশালে। বাস বা লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকলেও নগরীতে থ্রি হুইলার যাত্রী পরিবহন করছে স্বাভাবিক ভাবেই। বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও থ্রি হুইলার যাত্রী পরিবহন করছে মহাসড়ক হয়ে। এছাড়া স্বাস্থ্য বিধি মেনে খোলা স্থানে বাজার পরিচালনার নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না কেউ।
সোমবার থেকে সারাদেশের মত বরিশালেও লক ডাউন জারি করে সরকার। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার জন্যও গনবিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রশাসন।
সরেজমিনে নগরীর নথুল্লাবাদ, রুপাতলী, নতুন বাজার, অমৃত লাল দে সড়ক, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দির জাহাঙ্গীর সড়ক, বাংলা বাজার ও বটতলা সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে লক ডাউনের ঢিলে ঢালা চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। ফকির বাড়ি রোডের মুখে র্যাব সচেতনতামূলক প্রচারণা চালালেও তোয়াক্কা করছে না কেউ।
বাংলাবাজার এলাকার রাইসুল ইসলাম নামে এক যুবককে অযথা ঘোরাঘুরির কারণ জিজ্ঞাসা করা সে লক ডাউন দেখতে বাইরে বের হওয়ার কথা জানান।
রাতুল খান নামে নথুল্লাবাদের এক যুবককে মাস্ক না পরার কারন জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলেন, লক ডাউনে রাস্তা ফাকা ভেবে বের হয়েছি। ভেবেছি রাস্তায় কেউ নেই তাই মাস্ক পরিনি।
এদিকে লক ডাউন উপেক্ষা করে যাত্রী পরিবহন অব্যাহত রেখেছে নগরীতে চলাচলকারি থ্রি হুইলারগুলো। চালকরা জানিয়েছেন তেমন বাধা বিপত্তি না থাকায় তারা গাড়ি চালাচ্ছেন।
অপরদিকে লক ডাউন দেয়া হলেও বেশ কয়েকটি এলাকায় দোকানপাটও খোলা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ দোকান বন্ধ রয়েছে।
করোনা সচেতনতায় বরিশাল নগরীতে বেলা ১১টায় মোটরসাইকেল র্যালী বের করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। যা নগরীর জিলা স্কুলের মোড় থেকে শুরু হয়ে জেল খানার মোড়, নথুল্লাবাদ এবয় রুপাতলী হয়ে পুনরায় জিলা স্কুলের মোড়ে শেষ হয়।
বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, করোনা সংক্রমন থেকে রক্ষায় সচেতনতামূলক প্রচারণা থেকে শুরু করে ভ্রাম্যমার আদালতও পরিচালনা করা হচ্ছে। মানুষকে বোঝানো হচ্ছে করোনার ভয়াবহতা। নিজে সুরক্ষিত না থাকলে পরিবারও সুরক্ষা পাচ্ছে না। যারা অযথা বাইরে বের হচ্ছে তারা অন্তত পরিবারের স্বার্থে বাইরে বের হবেন না।