বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরগুনার বেতাগী থানাধীন কালিকা বাড়ি গ্রামে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জেরে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা অভিযোগ পাওয়া গেছে।এতে আহতরা হলেন খাদিজা বেগম (৪০) তার স্বামী সোনামিয়া মুসল্লী (৪৮) ও তার মেয়ে তাসমিম (১৩)।গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় তাদের নিজ বাড়িতে বসে এ হামলার ঘটনা ঘটে
পরে স্থানীয়রা আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে বেতাগী থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে। সেখানে গুরুতর আহত খাদিজা বেগমের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
আহত সূত্রে জানা যায় সোনা নিয়ে মুসল্লির সাথে তার সৎ চাচা দুলাল মুসল্লির সাথে দীর্ঘদিন যাবত পৈতিক মজগুনি সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। প্রতিপক্ষ দুলাল মুসল্লী বাড়ির মজগুনি সম্পত্তি নিজে ভোগ দখল করার চেষ্টায় বিভিন্ন সময়ে সোনামিয়া মুসল্লিকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।
আহত সূত্রে আরও জানায় সোনামিয়া মুসল্লির হাস ও গরু ছাগল বাড়ির মজগুনি রাস্তা থেকে চলাচল করাতে গেলে ভারাটে সন্ত্রাসী এনে গালমন্দ ও মারধর করে প্রতিপক্ষ দুলাল মুসল্লী।এমনকি শত্রুতার জেরে সোনামিয়া মুসল্লির পালিত হাঁস ও মুরগী চুরি করে দুলাল মুসল্লির স্ত্রী রেনু বেগম।
গতকাল সোনামিয়া মুসল্লির মেয়ে তাসমিম এর লাগানো গেন্দা ফুল ও গাছ চুরি করে প্রতিপক্ষ দুলাল মুসল্লির মেয়ে সেতু। এ নিয়ে তাসমিম প্রতিপক্ষ দুলাল মুন্সির মেয়ে সেতুকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষরা তাসসিমকে মারধর শুরু করে।
এ সময় তাসমিমের মা খাদিজা বেগম ও বাবা সোনামিয়া মুসল্লী তাসমিম কে উদ্ধার করতে গেলে প্রতিপক্ষ দুলাল মুসল্লী তার স্ত্রী রেনু বেগম, মেয়ে সেতু, মোরশেদা সহ অজ্ঞাত ভারাটে ৪-৫ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠি রড দিয়ে খাদিজা বেগম, সোনামিয়া ও মেয়ে তাসমিম কে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
পরে আহতদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। বর্তমানে গুরুতর আহত খাদিজা বেগম শেবাচিমের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দলের প্রস্তুতি চলছে।