বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পাথরঘাটা থানাধীন কাঠালতলী গ্রামে দেবর কর্তৃক বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তানিয়া বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে।
গতকাল রবিবার বিকেল পাঁচটায় কাঠালতলী গ্রামের হাওলাদার বাড়ির সামনে বসে এ হামলার ঘটনা ঘটে।আহত গৃহবধূ কাঠালতলী গ্রামের ফোরকান হাওলাদের স্ত্রী তানিয়া বেগম।পরে স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে।সেখানে আহতর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্ররেণ করে।
এ বিষয়ে আহত তানিয়া বেগমের স্বামী ফোরকান হাওলাদার সাংবাদিকদের জানায়,ফোরকান হাওলাদার ১৪ বছর প্রবাসে থাকায় তার ছোট ভাই মুন্নার কাছে বিদেশ থেকে টাকা পয়সা পাঠায়।এবং প্রবাসে থাকাকালীন পাঠানো সকল টাকা ছোট ভাই আত্মসাৎ করে।এ নিয়ে স্ত্রী তানিয়া বেগম প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন সময়ে ছোট ভাই মুন্না ও তার স্ত্রী জাকিয়া ও মা আনোয়ারা বেগম মারধর করে।
এরপরে ফোরকান হাওলাদার প্রবাস ছেড়ে দেশে এসে কাজ বাজ শুরু করলে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করার জন্য বিভিন্ন সময় ছোট ভাই মুন্না তার বড় ভাই ফোরকান হাওলাদার কে মারধর সহ খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছিল। আর এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন বড় ভাই ফোরকান হাওলাদার তার স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে শ্বশুরবাড়িতে গেলে প্রতিপক্ষ ছোট ভাই মুন্না তার স্ত্রী জাকিয়া ও মা আনোয়ারা বেগম হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তানিয়াকে লোহার রড ও লাঠি সোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি শুরু করে।
এসময় তানিয়া তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য দৌড় দিয়ে বাড়ির সামনে রাস্তায় উঠলে সেখানে বসে তাকে বেধড়ক পেটাতে থাকে মুন্না, জাকিয়া ও আনোয়ারা।এ সময় প্রতিপক্ষরা তানিয়ার বাম পা পিটিয়ে ভেঙে ফেলে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।পরে আহতর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
বর্তমানে আহত তানিয়া বেগম শেবাচিমের মহিলা অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।এদিকে মারধরের পরে প্রতিপক্ষ মুন্না মামলা না দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে। এ বিষয়ে আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।