নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পাথরঘাটা থানাধীন কাঠালতলি গ্রামের পাওনা টাকা চাওয়া এক গৃহবধূকে ঘর থেকে নামিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত গৃহবধুর নাম জেসমিন বেগম (৩৬)। তিনি কাঠালতলী গ্রামের মনির হাওলাদারের স্ত্রী।পরে স্থানীয়রা আহতকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে পাথরঘাটা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে আহতর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

আহত সূত্রে জানা গেছে মনির হাওলাদার এর কাছ থেকে তার পার্শ্ববর্তী চাচতো ভাই নূর আলম দুই বছর সাত মাস আগে এক লক্ষ টাকা ধার নেয়। এ সময় নুর আলম তার স্ত্রী রিনা বেগমের নামে স্টাম্পে সই দিয়ে টাকা ধার নেয় মনির হাওলাদারের কাছ থেকে।

এ নিয়ে বিভিন্ন সময় মনির হাওলাদারের স্ত্রী জেসমিন বেগম ও মনির হাওলাদার, নুর আলম ও তার স্ত্রী রিনা বেগমের কাছে তাদের পাওনা টাকা চাইতে গেলে প্রতিপক্ষরা টাকা দিবে না বলে জানায়। এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি দেয়।

এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার দিন জেসমিন বেগম নুর আলম ও তার স্ত্রী রিনার কাছে তাদের পাওনা টাকা চাইতে যায়। এ সময় প্রতিপক্ষরা জেসমিন বেগমকে মারধরসহ হত্যার হুমকি দিয়ে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দিন বিকেল চারটায় প্রতিপক্ষরা মনির হাওলাদারের নিজ ঘর থেকে গৃহবধূর জেসমিনকে টেনে হিসরে বের করে ও পিটিয়ে স্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়।

এ সময় রিনা, নুর আলম, শাহ আলম, পাখি, আফজাল, রানী, রেনু, নবী হোসেন, সহ অজ্ঞাত আট দশ জন জেসমিন বেগমকে এলোপাথাড়ি মারধর করে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে আহত ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

বর্তমানে আহত জেসমিন বেগম শেবাচিমের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।