বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নলছিটি থানাধীন খাগড়া খান গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একই পরিবারের চারজনকে পিকে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ সময় প্রতিপক্ষরা আহতদের দফায় দফায় মারধর করে ও ঘরে থাকা মালামাল পুড়িয়ে দেয় এবং বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে।
গত দশ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।এতে আহতরা হলেন নলছিটির খাগড়া খান গ্রামের মৃত্যুর রুস্তম আলী খানের ছেলে শহিদুল ইসলাম খান (৫২), শহিদুলের স্ত্রী রিনা বেগম (৪২),মেয়ে মাহিয়া আক্তার (১৭)ও ছেলে মুত্তাকিন (১৪)। পরে আহতরা মুমূর্ষ অবস্থায় ঝালকাঠি হাসপাতালে গেলে প্রতিপক্ষদের তোপের মুখে পড়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে না পেরে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যেতে হয়।পরবর্তীতে বরিশাল সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা নেয়।
এদিকে এ ঘটনায় উল্টো প্রতিপক্ষরা আহতদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করে। গত এক অক্টোবর আদালত থেকে আহতরা জামিনে বের হয়।এ বিষয়ে আহত রিনা বেগম সাংবাদিকদের জানায়,তার স্বামী শহিদুল ইসলাম খান এর সাথে জমি জমা নিয়ে বাড়ির লোকজনদের সাথে বিরত চলে আসছিল।
তিনি আরো জানায়,শহিদুল ইসলাম খানের সাথে তার ভাই হোসেন আলি খান ,আলাম ও আক্কাস আকনের সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে।ঘটনার দিন রিনা বেগম তার বাড়ির নিজ জমিতে কাপড় শুকানোর রশি টানানোর জন্য একটি গাছ কোপে।এদিকে প্রতিপক্ষ হোসেন আলী খানের স্ত্রী রহিমন বেগম মনে করে তারা জমি দখলের জন্য সিমানা প্রাচীর দিচ্ছে। আর এ নিয়ে তার জাল রহিমন এর সাথে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষরা লাঠি সোটা নিয়ে রিনা বেগমকে এলোপাতাড়ি পিটাতে শুরু করে।এসময় আক্কাস আকন,হোসেন আলী খান, ইউসুফ আলী আকন, রহিমন সহ অজ্ঞতা ৮/১০ জন রিনা বেগমকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করে। এ সময় রিনা বেগমের মেয়ে মাহিয়া আক্তার ও স্বামী শহিদুল তাকে বাঁচাতে গেলে তাদের পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
আহতরা আরো জানায়, মারধরের একপর্যায়ে স্কুল থেকে আসার পথে রিনা বেগমের ছেলে মুত্তাকিন কে তুলে নিয়ে চোখ বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালায়। প্রতিপক্ষরা এখানে খ্যান্ত হয়নি সন্ধ্যার পরে আহতদের ঘরে প্রবেশ করে তাদের আবারও মারধর করে ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘরে থাকা মালামাল লুটপাট করে এবং অন্যান্য মালামালে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এরপর থেকে আহত পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ভুক্তভোগীরা আরো জানায়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর আহত পরিবার আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে আদালতের সামনে বসে তাদের পথরোধ করে আক্কাস আকনের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষরা তাদের মারধর করে।পরে কোট পুলিশ তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে।
এদিকে ১ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগীরা জামিনে বের হয়েও বাড়িঘরে ঢুকতে পারছেনা প্রতিপক্ষের ভয়ে।মারধর সহ খুন জখমের ভয় দেখিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করতে না দিয়ে তাদের জমির উপর রাস্তা তৈরি করে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষরা।বর্তমানে আহতরা শেবাচিমে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছে।