বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল নাগরীর পোর্টরোড এলাকায় মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় ভাগিনা কর্তৃক মামাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা। গত ৩ অক্টোবর সোমবার রাত সাড়ে ১১ টায় বাইতুল নূর জামে মসজিদ গলিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে পোর্টরোড এলাকার বাসিন্দা মৃত হাসেম খলিফার ছেলে শুক্কুর খলিফা (৭২) গুরত্বর যকম হয়।
পরে স্থানীয়রা আহত শুক্কুর খলিফা কে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত সুত্রে জানা গেছে শুক্কুর খলিফার বোন নয়নতারা অসহায় থাকায় বড় ভাই শুক্কুর খলিফা তার জমিতে পাঁচ বছরের চুক্তিতে ঘর নির্মাণ করে অসহায় বোনকে থাকতে দেয়। এদিকে শুক্কুরের বোন নয়নতরার ছেলেরা তার মামার জমিতে থেকে দীর্ঘদিন যাবত মাদক বিক্রি ও সেবনে জড়িয়ে পড়ে। এ কারনে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় রয়েছে। আহত সূত্র আরো জানায় ছোট বোন অসহায় বিদায় তার ভাই শুক্কুর খলিফা পাঁচ বছরের চুক্তিতে তার বাড়িতে বোন ও তার সন্তানদের নিয়ে বসবাস করার অনুমতি দেয়।
এবং পরবর্তীতে এখানে থেকে কিছুটা স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে অন্যত্র গিয়ে বসবাস করবে বলে এমন শক্তিতেই থাকতে দেয়। অথচ সেই চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও বোন এবং ভাগিনার তাদের ক্ষমতার জোরে, মামার জমি জোরপূর্বক দখল করে বসবাস করে। এই পূর্বসত্রুতারজেরে বোন নয়নতারার ছেলেরা আহত শুক্কুর খলিফার মেয়ে জামাই বজলুকে মাদক সেবন করায়। তাৎক্ষণিকভাবে শ্বশুর শুক্কুর খলিফা ঘটনা জানতে পেরে বজলুকে গালমন্দ করে তার ঘরে নিয়ে আটকে রাখে।
এরপর রাতে বাড়ির সামনে বাইতুল নুর জামে মসজিদের সমানে বের হলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওৎ পেতে থাকা বোনের নাতি মনায়েম, ছেলে রেজাউল, সফিক ও মনির ধারালো দা ও লাঠি দিয়ে শুক্কুর খলিফা কে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে ও পিটাতে থাকে। পরে আহত ডাক চিৎকারে আহতর মেয়ে ছুটে আসলে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে আহত শুক্কুর খলিফা শেবাচিমের পুরুষ সার্জারি ইউনিটে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।