নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল নগরীর আলেকান্দা কাজীপাড়া ১৪ নং ওয়ার্ড এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বখাটে সন্ত্রাসের হামলায় একই পরিবারের গর্ভবতী নারীসহ তিন নারীকে কুপিয়ে জখম করেছে বখাটে সন্ত্রাসীরা।

এতে আহতরা হলেন কাজীপাড়া খন্দকার বাড়ির বাসিন্দা লিটু খন্দকার স্ত্রী ৬ মাসের গর্ভবতী আঁখি বেগম (৩৫) তার ননদ মিন্টু খানের স্ত্রী লাইজু বেগম (৩৪) ও অপর ননদ আনিসুর রহমানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪২)। পরে স্থানীয়রা আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে শেবাচিমে ভর্তি করে।

আহত সূত্রে জানা গেছে সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ফাতেমা বেগমের ছেলে নিয়াজকে খেলাধুলা করার সময় প্রতিপক্ষ মারজান বকাঝকা করে। এ নিয়ে নিয়াজের মা ফাতেমা বেগম মারজানকে জিজ্ঞাসা করলে পূর্ব শত্রুতার জেরে মারজান, সাজিন, পারভেজ মুন্সি, সোহাগ মুন্সি, ও তাদের বোন লুনি দেশীয় অস্ত নিয়ে ফাতেমা বেগমের উপরে হামলা চালায়।

এ সময় ফাতেমা বেগমের ভাইয়ের বউ আঁখি বেগম ও বোন লাইজু তাকে ছাড়াতে গেলে প্রতিপক্ষ মারজান ও সাজিন ধারালো তা দিয়ে তাদের এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। এতে আখের বেগম ও লাইজু বেগমের মাথা ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়।

হামলার এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষরা আখি বেগমের বসত করে ভাঙচুর চালায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।এ ঘটনায় সোহাগ মুন্সী নামের একজনকে আটক করে পুলিশ। আহত সূত্র আরও জানায়, লাইজু বেগমের স্বামী মিন্টু খান খন্দকার বাড়িতে দুলাল মুন্সির কাছ থেকে জমি ক্রয় করার পর থেকে দুলাল মুন্সির ছোট ভাই পারভেজ মুন্সি ও তার বখাটে ছেলে মারজান ও ছোট ভাই শামিম মুন্সির ছেলে সাজিন দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে মিন্টু খানের কাছে।

এই টাকা দিতে মিন্টু কান অস্বীকৃতি জানালে তাকে ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় পারভেজ মুন্সী তার ছেলে মারজান ও ভাতিজা সাজিন। আর এরই ধারাবাহিকতায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে মিন্টু খানের স্ত্রী লাইজু বেগম সুমন্দির বউ আঁখি বেগম ও স্ত্রীর বড় বোন ফাতেমা বেগমকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

আহতসূত্রে আরো জানা যায়, বখাটে সাজিন ও মারজানের বিরুদ্ধে কাজীপাড়া এলাকায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মারজান ও সাজিন মাদক সেবন করে এলাকায় প্রতিনিয়ত মারামারি ছিনতাই ইভটিজিং সহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে আসছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় পারভেজ মুন্সিরা সাত ভাই থাকায় তাদের ছেলেরা একের পর এক মাদক সেবন করে ছিনতাই ইভটিজিং অপকর্ম চালিয়ে গেলেও তারা কোন কিছুর তোয়াক্কা করে না। শামীম মুন্সির ছেলে সাজিন ও পারভেজ মুন্সির ছেলে মারজান এলাকাতে একটি কিশোর গ্যাং পরিচালনা করে আসছে।

মারজান এর আগেও ঢাকাতে থাকা অবস্থায় একাধিক অপকর্ম ও একাধিক মামলার সাথে জরিয়ে রয়েছে বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহতরা হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে আহতর পরিবার ও স্থানীয়রা পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।