বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কলাপাড়া থানাধীন জামালপুর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই পরিবারের ৬ জনকে পিটিয়ে গুরুতর জখম।গতকাল বেলা ১১ টায় জামালপুর গ্রামের খান বাড়িতে বসে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় প্রতিপক্ষরা আহতদের মারধর ও ঘড়বাড়ি ভাংচুর করে দুটি স্বনের্র চেইন ছিনিয়ে নেয়।এতে আহতরা হলেন জামালপুর গ্রামের আলতাফ খানের ছেলে সরোয়ার (১৯),বসির (২৮),আলতাফ খান (৫২),আলতাফ খানের স্ত্রী জয়নব বেগম (৪০),ছেলে বউ জায়েদা বেগম (২৫), আলতাফের সালিকা রাশিদা বেগম (৩০)।
পরে স্থানীয়রা আহতদের মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে কলাপাড়া থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে। এ সময় এদের মধ্যে গুরুতর আহত সরোয়ার খানকে মুমূর্ষ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বরিশাল শের- ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
হাসপাতালে আহত সূত্রে জানা যায় আলতাফ খানের ভাগিনারা প্রায় তিন বছর আগে নদীতে মাছ ধরার জন্য কয়েক দিনের মামার কাছ থেকে একটি গাছের টুকরো চেয়ে নেয়। এবং পরবর্তীতে ফিরিয়ে দেওয়ার থালেও দীর্ঘ তিন বছর পেরিয়ে গেল গাছটি ফেরত দেয় না ভাগিনারা।
গতকাল শনিবার এগারোটার দিকে ভাগিনাদের ট্রলার ঘাটে আসলে সেই ট্রলারের সাথে গাছটি দেখতে পায় মামা আলতাফ খান। এ সময় ভাগ্নেদের কাছ থেকে গাছটি ফেরত চায়।আর এ নিয়ে ভাগ্নেদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে ভাগিনারা মামার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে এবং মামা মামি ও মামাতো ভাইদের মারধর করে। এ সময় ভাগ্নে ইসমাইল চৌকিদার, হানিফ, বেল্লাল, আব্দুস সোবাহান, সহ অজ্ঞাত ৫-৭ জন লাঠি ও রড দিয়ে আলকাফ খান তার ছেলে বশির খান, সারওয়ার খান, স্ত্রী জয়নব, ছেলে বউ জায়েদা বেগম, ও শালী রাশিদা বেগমকে পিটিয়ে জখম করে।
পরে আহতরদের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। বর্তমানে আহতরা হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে হামলার পর থেকে মামলার না দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে ভাগনেরা। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।