নিজস্ব প্রতিবেদকঃ উজিরপুরে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্বশততার জের ধরে দুইজনকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। এ সময় আহতদের বসত ঘড় ভাঙচুর করে জমির দলিল নগদ টাকা ও স্বর্ণকার লুটপাট করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা।

এতে আহতরা হলেন উজিরপুর থানার গুঠিয়া ডহরপাড়া গ্রামের আক্তার হাওলাদার (৬৫) ও তার স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৫৮)। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উজিরপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে ও গুরুতর আহত আক্তার হাওলাদার কে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

আহত সূত্রে জানাগেছে প্রতিপক্ষ দুলাল হাওলাদারের সাথে জমি নিয়ে আকতার হাওলাদারের দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। প্রতিপক্ষদের জমির কাগজপত্র ঠিক না থাকায় আক্তার হাওলাদার সাথে পেরে উঠছিল না। আর এ কারণেই তার বসত করে হামলা চালিয়ে সিন্দুক ভেঙে নগদ টাকা জমির দলিল একটি স্বনের্র চেইন ছিনিয়ে নেয়।

আহত সুত্র আরো জানায় গতকাল সকাল ১০ টায় আক্তার হাওলাদারের বাড়িতে তার স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম একা থাকায় প্রতিপক্ষ দুলাল হাওলাদার, তার ছেলে শাফায়াত হাওলাদার, সিয়াম,স্ত্রী মমতাজ বেগম, মজনু, মোস্তফা, স্বপন সহ অজ্ঞাত ৮-১০ জন হামলা চালায়। এ সময় প্রতিপক্ষরা ঘরে প্রবেশ করে আক্তার হাংয়ের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমকে মারধর করে সিন্দুক ভেঙ্গে জমির দলিল, নগদ ২১ হাজার টাকা ও আট আনা স্বর্ণের একটি চেইন নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে আক্তার হাওলাদার খবর পেয়ে তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এবং রাতে উজিরপুর থানায় অভিযোগ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে করিম ডাক্তারের বাড়ির পুকুর পাড়ে বসে পুনরায় দ্বিতীয় দফায় হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এ সময় শাফায়াত হাওলাদার, দুলাল হাওলাদার, সিয়াম, মুস্তফা, মজনু, স্বপন সহ অজ্ঞাত ও ৮/১০ জন লাঠি সোটা নিয়ে আক্তার হাং কে এলোপাথাড়ি পেটাতে শুরু করে।

পরে আহতর ডাক চিৎকারে স্থানীয় ছুটে আসলে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। বর্তমানে আহত আক্তার হাওলাদার শেবাচিম মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে ও তার স্ত্রী হোসনেআরা বেগম উজিরপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধিন রয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।