বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২৫ অপরাহ্ন
জাকারিয়া জাহিদ, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ সূর্যোদয় সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটায় ঈদে মিলাদুন্নবী,সনাতন ধর্মালম্বীদের প্রধান দুর্গোৎসব এবং সাপ্তাহিক ছুটি সহ মোট ৫ দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত কুয়াকাটা। পর্যটকদের এমন ভীড়ে বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার অধিকাংশ রিসোর্ট ও হোটেল রুম।এছাড়া বিভিন্ন পর্যটন স্পটে বেড়েছে পর্যটকদের বাড়তি আনাগোনা।
আগত পর্যটকরা সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালীতে মেতেছেন। অনেকে আবার উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। পূজা উদযাপন উৎসবে। সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত, সমুদ্রের ঢেউ, সবুজ বনানীর অপার ছোয়া আর লাল কাকড়ার অবাধ বিচরন দেখতে এসব পর্যটকদের এখন ক্লান্তিহীন ছুটে চলা। রাখাইন মার্কেট, ঝিঁনুক মার্কেট, শুটকী মার্কেট, খাবার হোটেলসহ বাহারী পন্যের দোকানেও রয়েছে পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। এই পর্যটন নগরীর সবচেয়ে বড় বাধা ছিলো সড়ক পথে যোগাযোগ না থাকা।
তবে পদ্মা সেতু চালুর পর কেটে গেছে সব বাধা। যোগাযোগ সুবিধার কারণে ভির বেড়েছে পর্যটকদের। ছোট বড় মিলিয়ে দেড়’শ হোটেল রিসোর্ট থাকলেও সরকারি ছুটি কিংবা বিশেষ দিন গুলোতে রুম পাননা পর্যটকরা। আশ পাশের বাড়ি গুলোকে কমিউনিটি ট্যুরিজমের আওতায় এনে রুম ভাড়া দেয়া হলেও তাতেও যায়গা হচ্ছেনা।
তাই অনেকে রাত্রি যাপন করে সৈকতে থাকা বেঞ্চ ও মসজিদ-মন্দিরের বারান্দায়। আগে যেখানে বর্ষা মৌসুমে হোটেল- রিসোর্ট খালি পরে থাকতো, সেখানে এখন পর্যটকদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় পর্যটকদের উপস্থিতি কাজে লাগাতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে হোটেল রিসোর্ট নির্মান সহ বিনিয়োগের দরকার বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় পর্যটন স্পটগুলোতে মোতায়েন রয়েছে মহিপুর থানা,পুলিশ ট্যুরিষ্ট পুলিশসহ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।####